পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাটোর্স্ক রেলস্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত ও আহত হয়েছে শতাধিক। দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি এই হামলার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রামাটোর্স্কের রেলস্টেশনে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে স্টেশনে হামলার অভিযোগ ‘একটি উসকানি’ এবং ‘সম্পূর্ণ অসত্য’।
শুধু ক্রামাটোর্স্কে হামলাই নয়, ইউক্রেন বারবার অভিযোগ করে আসছে, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এর মধ্যে বুচায় সাধারণ মানুষকে হত্যা, মারিওপোলের থিয়েটারে হামলার জন্যও রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। যদিও রাশিয়া বরাবরই বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাশিয়াকে এরই মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সদস্যপদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এই যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের যে কয়টি রেলস্টেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে ক্রামাটোর্স্ক রেলস্টেশন একটি। এই রেলস্টেশনটি পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধ এলাকা থেকে বেরিয়ে আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় হাজার হাজার মানুষ রেলস্টেশনে ভিড় করেছিল এই এলাকা ছাড়ার জন্য। ইউক্রেনের রেলের প্রধান বলেছেন, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র স্টেশনে আঘাত হেনেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।