যুদ্ধ করতে এসে রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী বুচা শহরে ২৫ নারী-শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।
দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার লাইভে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের হিউম্যান রাইটস কমিশনার লুদমাইলা ডেনিসোভা বলেন, সহায়তার জন্য দেয়া টেলিফোন নম্বরে আসা ফোনের তথ্যানুযায়ী অন্তত ২৫ জন নারী-শিশুকে ধর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে জানান তিনি।
এই কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনীয়দের ওপর রাশিয়ার গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধর্ষণ রুশ সেনাদের নতুন একটি অস্ত্র।
লুদমাইলা বলেন, এসব অপরাধের তথ্য আমরা সংগ্রহে রাখছি। প্রত্যেক অপরাধীই শাস্তি পাবে।
এর আগে বুচায় গণকবরের সন্ধান পাওয়ার তথ্য জানায় ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টিকে রুশ বাহিনীর ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে দেখছে তারা। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেন যেন ন্যাটোয় যোগ না দেয় এ ব্যাপারে বরাবরই তাদের সতর্ক করে আসছে রাশিয়া। সর্বশেষ যুদ্ধের কারণ হিসেবে তারা বলছে, দেশটিতে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ।
এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। তবে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রতিদিনই যুদ্ধে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নানা স্থাপনা।