বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় ২৫০০ কোটি ডলারের পরিকল্পনা

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১০:২২

আইএমএফের প্রথম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘করোনার নতুন ও উচ্চ সংক্রমণের ধরন মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব নমনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সীমিত সম্পদের দেশগুলোর জন্য আমাদের নতুন কৌশল নিতে হবে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ২৫০০ কোটি ডলারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর পর্যালোচনা করা চারটি সংস্থার বরাত দিয়ে আইএমএফ জানিয়েছে, চলমান কোভিড-১৯ ও ভবিষ্যতে মহামারির হুমকি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য চলতি বছর ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তহবিল ও পরবর্তী বছরে ১ হাজার কোটি ডলার তহবিলের প্রয়োজন হবে।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ‘কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক কৌশল’ নামে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করে।

পরিকল্পনাটি তৈরিতে আইএমএফের সঙ্গে সহায়তা করেছে কোয়ালিশন ফর অ্যাপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) ও গ্লোবাল ফান্ড এবং ওয়েলকাম ট্রাস্ট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। গবেষণাপত্রে বৈশ্বিক সংস্থাগুলো বলেছে, বিশ্বের সব দেশে ও অঞ্চলে মহামারি সমানভাবে রুখে দিতে জরুরি স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি নৈতিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের প্রথম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘করোনার নতুন ও উচ্চ সংক্রমণের ধরন মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব নমনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সীমিত সম্পদের দেশগুলোর জন্য আমাদের নতুন কৌশল নিতে হবে।

‘ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে করোনা মোকাবিলায় আমাদের পরিকল্পনায় ব্যয় আরও বেড়ে গেছে। বিশ্বে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ লাইন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মহামারির সংকট আরও তীব্র হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই আমেরিকান অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘ এই পরিকল্পনার আওতায় করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর জন্য আরও বেশি টিকা, পরীক্ষার কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এবং উন্নত ও টেকসই চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।’

দাতব্য সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক জেরেমি ফাররার বলেন, ‘গত দুই বছর করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলো এক ধরনের সফল ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। তবে যুদ্ধের কারণে সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। এটি মোকাবিলায় কোন গাফিলতি হলে ভাইরাসটি নতুন নতুন ধরন নিয়ে ফের ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।’

সিইপিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যাটচ্যাট বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় শুধু টিকানির্ভর হলে চলবে না। ভাইরাসটির নতুন ধরন রুখে দিতে বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা আরও উন্নত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর