বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দায়িত্ব পেয়েই শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৫১

এর আগে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভার সকল সদস্য একত্রে পদত্যাগ করার পর যে ৪ জনকে পুনরায় মন্ত্রীসভায় যুক্ত করা হয় তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি সাবরিও একজন। একদিনের মাথায় তিনিও পদত্যাগ করলেন।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটে কুলকিনারা পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। পুরো মন্ত্রীসভা পদত্যাগের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই সদ্য নিয়োগ পাওয়া অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি সাবরি পদত্যাগ করেছেন।

সেইলন টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের কাছে দেয়া এক চিঠিতে সাবরি বলেছিলেন, ৩ এপ্রিল বিচারমন্ত্রী হিসেবে তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরে তার আর কোনো পদ নেয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। টেকসই সমাধান না আসা পর্যন্ত তিনি কেবল অন্তর্বর্তীকালিন এ দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলেন।

এর আগে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভার সকল সদস্য একত্রে পদত্যাগ করার পর যে ৪ জনকে পুনরায় মন্ত্রীসভায় যুক্ত করা হয় তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি সাবরিও একজন। একদিনের মাথায় তিনিও পদত্যাগ করলেন।

এর আগে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভার সকল সদস্য একত্রে পদত্যাগ করার পর যে ৪ জনকে পুনরায় মন্ত্রীসভায় যুক্ত করা হয় তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি সাবরিও একজন। একদিনের মাথায় তিনিও পদত্যাগ করলেন।

সদ্য পদত্যাগ করা মোহাম্মদ আলি সাবরি নতুন মন্ত্রীসভার একমাত্র মুসলিম সদস্য। তিনি দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যও। এর আগে ৩ এপ্রিল পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। আগের মন্ত্রীসভায় তিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি শ্রীলঙ্কার মুসলিম্ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টও।

দেশটির ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ও কারফিউ উপেক্ষা করে সড়কে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ৩ এপ্রিল।

এই মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপাকসে।

এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের এমন পদক্ষেপ, দেশের জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করবে।

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনো নাগরিক ঘরের বাইরে যেকোনো সড়ক, পার্ক, সমুদ্রসৈকত, রেলস্টেশনে যেতে পারবেন না।

দুর্গতির কারণ

দুই কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দেশটির এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

এতে লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নেমে এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারে।

গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০২০ সালে শুরুর দুই মাসে রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে যায়।

ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে! শুধু তা-ই না, বছরের বাকি সময়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারকে।

প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে সংকট বাড়তে থাকে।

এসব সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিক্ষোভকারীরা।

এ বিভাগের আরো খবর