বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কা সংকট: সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৩৫

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার কার্যালয় থেকে সোমবার একটি বিবৃতি পাঠানো হয় দেশটির প্রধান বিরোধীগুলোর কাছে। সেখানে জাতীয় সংকট নিরসনে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়। তবে এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধীরা।

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজাপাকসে সরকার। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সর্বদলীয় সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার কার্যালয় থেকে সোমবার একটি বিবৃতি পাঠানো হয় দেশটির প্রধান বিরোধী দল এসজেবি'র কাছে। সেখানে জাতীয় সংকট নিরসনে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়। তবে এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের (এসএলপিএফএ) আছে ১৪৮ আসন। প্রধান বিরোধীদল সামগী জনা বালাভেগয়ার (এসজেবি) ৫৪ আসন রয়েছে সেখানে। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা। তীব্র আন্দোলন সামাল দিতে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। এর আগে শনিবার দেশজুড়ে জারি হয় ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ।

তবে এসবেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ। জরুরি অবস্থা ও কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রোববার রাতে রাজাপাকসে সরকারের ২৬ মন্ত্রী একযোগে পদত্যাগ করেন।

এই অবস্থায় সোমবার মন্ত্রীপরিষদে শুরু হয় রদবদল। শিক্ষা, অর্থ, পররাষ্ট্র ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নতুন চার জনকে। এদিন পদত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আছেন গভর্নর অজিথ নিভারদ।

বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে জ্বালানি আমদানি কমে যাওয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ এই সংকটে পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রটি। দিনের অর্ধেক বা এর বেশি সময় চলছে লোডশেডিং; খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি সংকটে ক্ষোভ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

দুর্গতির কারণ

দুই কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দেশটির এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

এতে লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নেমে এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারে।

গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০২০ সালে শুরুর দুই মাসে রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে যায়।

ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে! শুধু তা-ই না, বছরের বাকি সময়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারকে।

প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে সংকট বাড়তে থাকে।

এসব সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিক্ষোভকারীরা।

এ বিভাগের আরো খবর