বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগান নারীর ঘরের বাইরে যাওয়াই নিষেধ

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:১১

মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করার কিছুদিনের মধ্যে গত বুধবার এই নির্দেশ জারি করেছে তালেবান সরকার। কেবল তা-ই নয়, স্কুলের ইউনিফর্ম যথাযথ নয় দাবি করে কিছুদিন আগে হাজার হাজার ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল তালেবান।

গত আগস্টে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া তালেবান দাবি করেছিল, তারা পাল্টেছে অনেকটায়। নব্বইয়ের দশকের কট্টর অবস্থান থেকে বেশ উদার হবে এবার।

তবে গোটা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করার পর নারীদের নব্বইয়ের দশকের সেই শাসনের মতোই ঘরবন্দি করে ফেলেছে তারা।

নতুন সিদ্ধান্ত হচ্ছে, নারীরা ঘরের বাইরে যেতেই পারবেন না, যদিও আগে সিদ্ধান্ত ছিল পুরুষ সঙ্গে থাকলে যাওয়া যাবে।

মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করার কিছুদিনের মধ্যে গত বুধবার এই নির্দেশ জারি করেছে তালেবান সরকার। কেবল তা-ই নয়, স্কুলের ইউনিফর্ম যথাযথ নয় দাবি করে কিছুদিন আগে হাজার হাজার ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল তালেবান।

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বরাতে তালেবান নেতা ক্বারি এহসানউল্লাহর লেখা নতুন আদেশের চিঠিটি হাতে পেয়েছে ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ।

চিঠির একটি অংশ গাঢ় করে লেখা। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি আখুন্দজাদাকে বলতে শুনেছেন যে নারীদের অফিসে যাওয়া উচিত নয়, বাড়ির বাইরে যাওয়াও ঠিক না।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালেবান এমনটাও বলেছিল যে, সরকারে নারীরা যোগ দিতে পারবে। চাকরি করতে পারবে।

কিন্তু পরে অবস্থান পাল্টায়। কর্মজীবী নারীদেরকে ‘আপাতত’ ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, তাদের যোদ্ধারা এখনও নারীদেরকে কর্মস্থলে দেখতে অভ্যস্ত নয়, তাদেরকে সময় দিতে হবে।

আগস্টের চতুর্থ সপ্তাহে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি খুব সাময়িক একটা পদ্ধতি।’

তিনি বলেন, ‘ নারীদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এখনও প্রশিক্ষিত নয়। কীভাবে নারীদের সঙ্গে কথা বলতে হয় সেটিও অনেকেই জানেন না। এমন অবস্থায় আমরা যতদিন পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করতে পারি, সে সময় পর্যন্ত নারীদের ঘরে থাকার আহ্বান করছি।’

শুরুতে বলা হয়, মেয়েদের শিক্ষায় কোনো বাধা দেবে না তালেবান। পরে নারী শিক্ষা চালু করার ক্ষেত্রে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়।

গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বলা হয়, ‘সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ও বের হওয়া পথ আলাদা হতে হবে।’

কাবুল দখলের সাত মাসের মাথায় নানা সমালোচনার পর তালেবান মেয়েদের স্কুল খুলে দিলেও কয়েকদিন পরেই তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

গত মার্চে আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বলা হয়, ইসলামি আইন ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ পরিকল্পনার আগে মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকবে।

এমনকি নারী মন্ত্রণালয়ের নামও পাল্টে দেয়া হয়। এই মন্ত্রণালয়ের নতুন নাম ‘ন্যায়-অন্যায় মন্ত্রণালয়’ করা হয়েছে।

তালেবানের সবশেষ শাসনামলে (১৯৯৬ থেকে ২০০১) নারীরা কাজ করতে পারত না। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নারীরা বাড়ির বাইরে বের হলে চেহারা ঢেকে ও পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে বের হতে হতো।

যারা এই আইন অমান্য করতেন ইসলামি শরিয়া আইনের কট্টর ব্যাখ্যার অধীনে তাদের জনসমক্ষে পেটাত তালেবানের ধর্মীয় পুলিশ।

রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যর্থ আলোচনা চালানো তালেবান পশ্চিমাদের কথা দেয়, নারীরাও ‘ইসলামী আইন’ অনুযায়ী কাজ করা ও শিক্ষা গ্রহণের সমান অধিকার পাবেন।

এ বিভাগের আরো খবর