বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমরানের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছেন কারা

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৫৬

কিংবদন্তি ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের ক্ষমতাকে শক্তভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। যদিও ইমরান খানই শুধু নয়, এখন পর্যন্ত কোনো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।

পাকিস্তানে দুর্নীতি, বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে গত ৮ মার্চ সব বিরোধী দল এক হয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছিল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবারও টিকে রইলেন ইমরান খান।

৩ এপ্রিল পাকিস্তান পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধী দলকে ভোট দিতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই রোববার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। সাংবিধানিকভাবে এখন তিন মাসের মধ্যে দেশটিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

কিংবদন্তি ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের ক্ষমতাকে শক্তভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। যদিও ইমরান খানই শুধু নয়, এখন পর্যন্ত কোনো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।

তবে ইমরান খানের ক্ষমতাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে রাজনীতির ময়দানে প্রধান খেলোয়াড় কারা, জিও টিভির আলোকে তাদের পরিচয় তুলে ধরেছেন মো. ইমরানুর রহমান।

পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ

শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ শরিফের ভাই। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনিই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রধান প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবেন।

তার ভাই নওয়াজ শরিফ অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় এবং পানামা পেপারসে নাম আসায় ভাবমূর্তি সংকটে আছেন। ফলে হুট করে তার পক্ষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এদিকে শাহবাজ শরিফই এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের প্রেসিডেন্ট।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের ভাই পরিচয় ছাড়াও ৭০ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজেকে একজন কাজপ্রেমী ও কঠোর প্রশাসক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বক্তৃতার সময় বিপ্লবী কবিতার অংশবিশেষ বলার জন্যও তিনি পরিচিত।

একাধিক বিয়ে এবং লন্ডন ও দুবাইতে তার বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট ‘লোরিড ট্যাবলয়েডে’ শিরোনাম হলে পাকিস্তানে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি

আসিফ আলী জারদারি

পাকিস্তানের একটি ধনী সিন্ধি পরিবার থেকে তিনি এসেছেন। যিনি বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য পাকিস্তানে পরিচিত ছিলেন। বেনজির ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অল্প কিছুদিন আগে আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তিনি রাজনীতিতে বেশ উৎসাহের সঙ্গেই নেমেছিলেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি চুক্তি থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই জন্য তিনি ‘মি: টেন পার্সেন্ট’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুর্নীতি, মাদক চোরাচালান ও খুনের অভিযোগে তিনি দুবার জেল খেটেছেন। যদিও কখনও তিনি বিচারের মুখোমুখি হননি।

২০০৭ সালে বন্দুকধারীদের হামলায় বেনজির ভুট্টো নিহত হলে ৬৭ বছর বয়সী আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক চুক্তিতে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

পাকিস্তানে একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বিলাওয়াল

বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি

পাকিস্তানের সাবেক ও দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি।

২০০৭ সালে তার মা বেনজির ভুট্টো নিহত হলে তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন।

অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করা ৩৩ বছর বয়সী বিলাওয়াল একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। যিনি প্রায়ই নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন।

পাকিস্তানের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশির বয়স ২২ বছর ও তার নিচে। সেখানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা উর্দুতে দুর্বলতা থাকার কারণে প্রায়ই তাকে নিয়ে উপহাস করা হয়।

মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর প্রভাব রয়েছে মাওলানা ফজলুর রহমানের

মাওলানা ফজলুর রহমান

একজন ধর্মীয় কট্টরপন্থী হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাওলানা ফজলুর রহমান কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। ফলে বাম ও ডানপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর সঙ্গেও এখন তিনি জোট করেন।

তিনি তার ক্যারিসমাটিক বক্তব্যে হাজার হাজার মাদ্রাসা ছাত্রকে জড়ো করার ক্ষমতা রাখেন। তার দল জেইউআই-এফ কখনোই এককভাবে ক্ষমতায় আসার মতো জনপ্রিয় ছিল না, তবে মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর তার প্রভাব, সব সময় পাক রাজনীতিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবেই টিকিয়ে রেখেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তার শত্রুতা অনেক আগে থেকেই। ব্রিটিশ নাগরিক জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করায় ইমরান খানকে ‘একজন ইহুদি’ বলেই ডাকেন মাওলানা ফজলুর রহমান।

এদিকে ‘জ্বালানি লাইসেন্স’ দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় ইমরান খান তাকে ‘মোল্লা ডিজেল’ বলে ডাকেন।

এ বিভাগের আরো খবর