বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, নির্বাচন ৩ মাসের মধ্যে

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৫৮

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কিছু সময় আগেই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টে ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে চিঠি পাঠিয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

রোববার দুপুরে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ

কর্তৃপক্ষ একটি বিৃবতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই দেশে নতুন করে আবার নির্বাচন হবে।

সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যদি পরামর্শ দেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। প্রেসিডেন্ট যদি পার্লামেন্ট ভেঙে না দেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা এমনিতেই ভেঙে যাবে। পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হবে।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কিছু সময় আগেই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টে ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে চিঠি পাঠিয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই।

জনগণকে দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা পাকিস্তানের ওপর নজর রাখছেন। এ সময় ক্ষমতা থেকে তাকে সরানোর জন্য বিদেশি চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইমরান খানের ক্ষমতায় টেকা-না টেকা নিয়ে বিরোধী পক্ষ জাতীয় পরিষদে যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল, তা খারিজ হয়ে যায় এদিনই।

অধিবেশনের শুরুতে প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে। অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান উপস্থিত ছিলেন না।

ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি। পরে অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। একপর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে। স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। হট্টগোল তৈরি হয়।

অধিবেশনের আগে সকালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল।

তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এরপরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়। একপর্যায়ে তা রোববার এসে ঠেকে।

নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।

অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হতো। এরই মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে।

এর আগে তিন বছরের মাথায় গত মার্চে অনাস্থা ভোট হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। সেবার সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অনায়াসেই উতরে গিয়েছিলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর