বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডার্ক ওয়েবে শিশু পর্নোগ্রাফি, পাকিস্তানে অভিযান

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৩৯

এরই মধ্যে আটক ব্যক্তি স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে সেসহ আরসলান, আম্মাদ, মোয়াজম ও তালহা শিশুদের অর্থ ও দামি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে তারা ভিডিওটি আসমা নামের এক মহিলা ও তার ড্রাইভার কামার ওরফে ডোডাকে দিত।

পাকিস্তানে শিশু পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব থেকে অর্থ আয় করে এমন একটি গ্যাংকে আটক করেছে দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার সেল।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার লাহোর থেকে এই অপরাধী গ্যাংকে আটক করে এফআইএ।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কমপক্ষে ১০ শিশু এই গ্যাং দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

পাঞ্জাবের একটি সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রাইভেট হাউজিং সোসাইটি থেকে এই অপরাধী চক্রটি ডার্ক ওয়েবে শিশু পর্নোগ্রাফির ব্যবসা করত। তারা শিশুদের প্রলুব্ধ করে তাদের যৌন নির্যাতন করে এর ভিডিও চিত্র ধারণ করত। পরে তা ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করত।

এমনকি এই সন্দেহভাজন অপরাধীরা অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী কিশোরদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত এবং প্রতিবাদ করলে তাদের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিত।

একজন নারীসহ চার সদস্যের সেই গ্যাং পরে ভিডিওগুলো ডার্ক ওয়েবে সেই ভিডিও বিক্রি করে ডলার আয় করেছে। এফআইএ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত একজন সন্দেহভাজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

এরই মধ্যে আটক ব্যক্তি স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে সেসহ আরসলান, আম্মাদ, মোয়াজম ও তালহা শিশুদের অর্থ ও দামি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে তারা ভিডিওটি আসমা নামের এক মহিলা ও তার ড্রাইভার কামার ওরফে ডোডাকে দিত।

এফআইএ-এর সাইবার সেল এরই মধ্যে বাকি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করছে এবং যে ব্যক্তিকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে, তার কাছ থেকে পাওয়া ইলেকট্রনিকস গেজেট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এফআইএ লাহোরকে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে বাকি অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে না পারে।

ডার্ক ওয়েব কী

ডার্কওয়েব হলো ইন্টারনেটের সেই অংশ, যাকে প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যায় না। সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে ডার্কওয়েবের সাইটগুলোতে ঢোকাও সম্ভব হয় না। একমাত্র বিশেষ ব্রাউজার দিয়েই এই সাইটগুলোতে ঢোকা যায়। শিশু পর্নোগ্রাফি, মাদক কেনাবেচা কিংবা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসাও ডার্কওয়েবে হয়ে থাকে। যেগুলো আমাদের প্রচলিত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অপরাধীরা করতে পারে না।

তবে ডার্ক ওয়েবে শুধু অপরাধীদেরই বিচরণ, এমনটা নয়। অনেক সাংবাদিক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টরাও নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ডার্ক ওয়েবে আস্থা রাখে।

এ বিভাগের আরো খবর