টানা দুই বছর পর ভারত থেকে উঠল করোনা বিধিনিষেধ। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়েছে দেশটির নাগরিকদের।
সংক্রমণের হারের ওঠানামার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখনও কঠোর, আবার কখনও শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ। তবে সংক্রমণ কমতেই এবার পুরোপুরি তুলে নেয়া হলো বিধিনিষেধ।
তবে এখনও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে গত ২৪ মার্চ করোনাবিধি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। কেন্দ্রের এই নির্দেশনার পরই একাধিক রাজ্য সংক্রমণ ও মহামারিসংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়।
করোনায় সব থেকে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রেও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে করোনাসংক্রান্ত যাবতীয় বিধি প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও খোলা জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ করোনা বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আর কোনো নির্দেশনা জারি করবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনাসংক্রান্ত যে নির্দেশনা জারি করা হয়, তা আগের মতোই প্রয়োজন অনুসারে প্রকাশ করা হবে।
বিধিনিষেধ উঠে গেলেও করোনা যে সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেয়নি, তা মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংক্রমণের প্রকৃতি দেখে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
কোনো এলাকায় হঠাৎ সংক্রমণ বাড়লে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিধিনিষেধগুলো অনুসরণ করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে রাজ্যগুলোকে।