বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কায় কারফিউ প্রত্যাহার

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৩৭

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালে প্রত্যাখান করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে তারা। পুলিশও বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এ সময় ৪৫ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়।  বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুলিশের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বৈদেশিক ঋণ মেটাতে গিয়ে তৈরি হওয়া তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কলম্বো উত্তর, কলম্বো দক্ষিণ, মধ্য কলম্বো, কেলানিয়া, মাউন্ট লাভিনিয়া, নুজেজোদাতে শ্রীলঙ্কা পুলিশ ডিভিশন কারফিউ রাজি করে।

সিলন টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের জারী করা কারফিউ আজ কলম্বোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেশটির রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করে বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রায় ৫ হাজার ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তবে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া তখন বাসভবনে ছিলেন না বলে জানিয়েছিল একটি সূত্র।

এদিন বিদ্যুৎসংকটের কারণে কলম্বোর সড়কের বাতি নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সন্ধ্যা থেকে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সরকার থেকে প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেন।

শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালে প্রত্যাখান করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এ সময় ৪৫ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুলিশের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে যা হচ্ছে

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন।

আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দেশটির এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এতে লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নেমে এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারে।

গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশের বিদেশি মুদ্রা রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০২০ সালে শুরুর দুই মাসে রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে যায়।

ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে! শুধু তা-ই না, বছরের বাকি সময়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারকে।

প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে সংকট বাড়তে থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর