বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলিয়েনের উদ্দেশে খোলা চিঠি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ২৩:২১

চীনের ফাইভ-হান্ড্রেড-মিটার অ্যাপারচার স্ফিরিক্যাল রেডিও টেলিস্কোপ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার এসইটিআই ইনস্টিটিউটের অ্যালেন টেলিস্কোপ অ্যারে দিয়ে বিকনটি আমাদের ছায়াপথের এমন একটি অঞ্চলে পাঠানো হতে পারে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

ভিনগ্রহে প্রাণ বা বুদ্ধিমান প্রাণির (এলিয়েন) অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কমতি নেই। কত শত গবেষণা আর অভিযান যে চালানো হচ্ছে, বার্তা পাঠানো হচ্ছে তরঙ্গের আকারে– তার ইয়াত্তা নেই। তবে এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি।

পৃথিবীর বাইরে প্রাণির অস্তিত্বের সন্ধানে এবার ব্যতিক্রমী এক উপায় বের করেছেন একদল বিজ্ঞানী। ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণির (এলিয়েন) সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ছায়াপথে খোলা চিঠি পাঠাতে যাচ্ছেন তারা। স্পেসবাউন্ড এই বার্তার নাম তারা দিয়েছেন-বীকন ইন দ্য গ্যালাক্সি (বিআইটিজি)।

বহির্জাগতিক প্রাণ বা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যোগাযোগের এমন চেষ্টা অবশ্য আগেও হয়েছে। পুয়ের্তো রিকোর আরেসিবো টেলিস্কোপ থেকে ১৯৭৪ সালে এমন বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তবে তার জবাব আসেনি আজও।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী জোনাথন জিয়াং এর নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্তাটি তৈরি করেন।

নতুন গবেষক দলটি জানিয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বার্তায় যোগাযোগের একটি সার্বজনীন মাধ্যম তৈরির জন্য মৌলিক গাণিতিক এবং ভৌত ধারণা যুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাণের জৈব রাসায়নিক গঠন, আমাদের সৌরজগতের সময় এবং অবস্থান, ডিজিটালাইজড মানুষের নগ্ন আকৃতি, সৌরজগত এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের ছবিও থাকছে বার্তায়।

চিঠির শেষে ভিনগ্রহের প্রাণিদের পৃথিবীর বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান পত্রিকা সায়েন্টিফিক আমেরিকান-এ প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা জানান, ভিনগ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণিদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা যেতে পারে কিংবা আদৌ কি তাদের অস্তিত্ব আছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ নেই। এ জন্য তাদের (এলিয়েন) সঙ্গে যোগাযোগের ভাষা নির্ধারণ করা কঠিন ছিল। তারা এমন একটি ভাষা উদ্ভাবন করতে চেয়েছেন, যেটা হবে সর্বজনীন।

এসব মাথায় রেখে জিয়াং ও তার দল বাইনারি কোডে চিঠিটি লেখার সিদ্ধান্ত নেন। চীনের ফাইভ-হান্ড্রেড-মিটার অ্যাপারচার স্ফিরিক্যাল রেডিও টেলিস্কোপ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার এসইটিআই ইনস্টিটিউটের অ্যালেন টেলিস্কোপ অ্যারে দিয়ে বিকনটি আমাদের ছায়াপথের এমন একটি অঞ্চলে পাঠানো হতে পারে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

গবেষকরা বলছেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্যসব গাণিতিক ভাষার চেয়ে বাইনারি কোড বোঝা সহজ। বাইনারি হলো গণিতের সবচেয়ে সহজ রূপ। কারণ এতে শুধু দুটি বিপরীত অবস্থা জড়িত; শূন্য এবং এক, হ্যাঁ বা না, কালো বা সাদা, ভর বা খালি স্থান।

বছরের পর বছর ধরে মানুষ অনন্ত মহাশূন্যে ভিনগ্রহের প্রাণিদের উদ্দেশে অনেক বার্তা পাঠিয়েছে। নাসার ভয়েজার প্রোবের ফিজিক্যাল গোল্ডেন রেকর্ডস ছিল এসব প্রচেষ্টার অন্যতম।

তবে ভিনগ্রহে যদি প্রাণ থেকেও থাকে, তাদের আরচণ কেমন হবে তা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক জল্পনা। অনেকে এই প্রচেষ্টাকে খাল কেটে কুমির আনার সঙ্গে তুলনা করছেন। তাদের মতে, ছায়াপথে পৃথিবীর অবস্থান প্রকাশ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ ভিনগ্রহের প্রাণি আমাদের ক্ষতিও করতে পারে।

জিয়াং এবং দল এই ঝুঁকি মানছেন। তবে তাদের বিশ্বাস, ভিনগ্রহের যে বা যেসব প্রাণি এ বার্তার পাঠোদ্ধার করতে পারবে, তাদের আক্রমণাত্মক হওয়ার আশঙ্কা কম।

গবেষকরা বলছেন, আমরাই যে অন্যগ্রহের প্রাণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, তা নাও হতে পারে। বুদ্ধিমান প্রাণিরাও হয়তো একই চেষ্টা করছে। তাই আমাদের বার্তা পেলে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সম্ভাবনা থাকছেই।

এ বিভাগের আরো খবর