বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাইওয়ানে উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতায় চীন: যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৭

যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দানে বিরত রয়েছে। তাইওয়ানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলো হলো গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, হাইতি ও ভ্যাটিক্যান সিটি। তাইপেতে অবস্থিত আমেরিকান ইনস্টিটিউটই অনানুষ্ঠানিক যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস হিসেবে কাজ করে।

ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যেই তাইওয়ান ইস্যুতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট’ অভিযোগ করেছে, তাইওয়ানের কাছাকাছি চীন ‘উসকানিমূলক’ সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তাইপের সঙ্গে বেইজিং যখন ‘নিরাপত্তা সম্পর্ক’ দৃঢ় করার অঙ্গীকার করেছে, ঠিক এমন সময় চীনের এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দানে বিরত রয়েছে। তাইওয়ানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলো হলো গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, হাইতি ও ভ্যাটিক্যান সিটি। তাইপেতে অবস্থিত আমেরিকান ইনস্টিটিউটই অনানুষ্ঠানিক যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস হিসেবে কাজ করে। সেই হিসেবে আমেরিকান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সান্ড্রা ওডকির্কই তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যত রাষ্ট্রদূত।

বুধবার তাইওয়ানে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সান্ড্রা ওডকির্ক বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এবং তাইপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি স্পষ্ট করেন। অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনও উপস্থিত ছিলেন।

যদিও তাইওয়ানের নীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছেন, তাইওয়ানে যেকোনো হামলার ক্ষেত্রে চীনকে প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র, সে ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়াতে পিছপা হবে না ওয়াশিংটন।

এদিকে সান্ড্রা ওডকির্ক বলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের সব ক্ষেত্রেই চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক আচরণ স্পষ্ট হচ্ছে। যেখানে চীন সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘তাইওয়ানের কাছাকাছি উসকানিমূলক সামরিক কার্যকলাপ হচ্ছে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা, ঝুঁকির ভুল হিসাব করা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করা।’

এ সময় ওডকির্ক ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর ‘মস্কো ও বেইজিং’-এর মিত্রতা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, পূর্ব ইউরোপে সংঘাত এবং তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনায় মিল দেখা যাচ্ছে।

ওডকির্ক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনের কথারই প্রতিধ্বনি করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রে চীন এরই মধ্যে ইতিহাসের ভুল পক্ষ বেছে নিয়েছে।

ওডকির্ক বলেন, একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে তাইওয়ানের ভূমিকা জোরদারে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। চীন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের বিষয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকায় রয়েছে। যদিও চীন সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করেছে।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোকে সামরিকীকরণ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে চীন। এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র কমান্ডার। তবে চীনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌকমান্ডার জন-সি অ্যাকুইলিনো বলেছিলেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য ‘যুদ্ধ এড়ানো’, তবে পেন্টাগন চীনের বিরুদ্ধে লড়াই ও জেতার জন্য প্রস্তুত।

তিনি অভিযোগ করেছিলেন, চীন দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোকে ব্যাপক মাত্রায় সামরিকীকরণ করছে এবং বিমানবিধ্বংসী ও নৌবিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে দ্বীপগুলোকে দুর্গে পরিণত করেছে। সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতের সময় চীন দ্বীপগুলোকে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান ওড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে।

অ্যাকুইলিনোর এমন বক্তব্যের জবাবে চীনের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেছিলেন, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র স্বাভাবিকভাবেই তার নিজের সীমানার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক স্থাপনা করবে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

‘আমার যা বলা দরকার তা হলো যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরের চারপাশে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে এবং প্রায়ই যুদ্ধজাহাজ ও সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে, যা উসকানিমূলক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলের উপকূলবর্তী দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর