পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলার সময় রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ক্ষমতাসীন দলের বিধায়কের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। এতে দুই দলের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্পিকার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে বহিষ্কার করেছেন।
এ ঘটনায় চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘মেরে শুভেন্দু আমার নাক ফাটিয়ে দিয়েছে।’ অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক দলের বিধায়করা আমাকে ঘুষি মেরেছে। জামা ছিঁড়ে দিয়েছে।’
এ সময় নারী বিধায়কদেরও ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের বলেন, ‘আপনারা এ রকম আচরণ করবেন না। নারীদের ধাক্কাধাক্কি করছেন। এটা ঠিক করছেন না। আপনারা সরে যান।’
স্পিকারের কথায় বিজেপি বিধায়করা শান্ত না হলে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাত, দীপক বর্মন, শংকর ঘোষকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের আনা প্রস্তাবে সায় দিয়ে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে আগামী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত বহিষ্কার করেছেন।
স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন বিজেপি প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। আজকের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকানোর চেষ্টা করছেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘স্পিকারের সামনে আমাদের মারধর করা হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।’ যদিও শাসক দলের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় অভব্য আচরণ করেছেন। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি গুন্ডাগিরি করছে।