অস্ত্র খাতে ভারতের নির্ভরশীল মিত্র রাশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) বলছে, গত পাঁচ বছরে ভারতে মোট অস্ত্র আমদানির ৪৯ শতাংশই কেনা হয়েছে মস্কো থেকে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকেও অস্ত্র কেনে মোদি সরকার।
অস্ত্রের ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর বেশি দিন নির্ভর করা ঠিক হবে না টের পেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তো প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসেই অভ্যন্তরীণভাবে অস্ত্র তৈরিতে জোর দেন। আর এতে সফলও হয়েছেন তিনি। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অস্ত্র রপ্তানিও করছে দিল্লি।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার অস্ত্র রপ্তানি করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
লোকসভায় ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বলেন, ‘ ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবছরের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি প্রায় ছয় গুণ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে অস্ত্র রপ্তানির আর্থিক মূল্য ছিল ১ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত তা ঠেকেছে ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকায়।’
সরকারের নানা উদ্যোগে এই সফলতা এসেছে উল্লেখ করে অজয় ভাট আরও বলেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ এই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
ভারতের তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কিনতে জানুয়ারিতে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছে ফিলিপাইন। ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতেও ভারতীয় অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল পেতে দিল্লির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।