এবার নতুন করে আবারও ড্রোন হামলায় জ্বলে উঠেছে সৌদি কোম্পানী আরামকোর জ্বালানি তেলের ডিপো।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের জেদ্দায় তেলের ডিপো ও রিয়াদের অন্যান্য স্থাপনায় রকেট ও ড্রোনের ধারাবাহিক হামলার দায় স্বীকার করেছে।
জেদ্দা শহরে রোববার ফর্মুলা ওয়ান রেস হওয়ার কথা। গাড়ির এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য শহরটি প্রস্তুত হচ্ছিল এমন সময় শহরের একটি প্ল্যান্ট থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্র মালিকানাধীন তেল কোম্পানী আরামকো তাৎক্ষনিকভাবে তেলের ডিপোতে আগুন ধরে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি।
পরে শুক্রবার, ইয়েমের হুতি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া জানান, হুথি যোদ্ধারা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আরামকোর স্থাপনায় আঘাত করেছে এবং ড্রোনের সাহায্যে রাস তানুরা ও রাঘিবের তেল শোধনাগারেও হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
এদিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া টিভি জানিয়েছে, নাজরানকে লক্ষ্য করে দুটি বিস্ফোরক বোঝাই লাদেন-ড্রোন (আত্মঘাতি ড্রোন) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোন ধরণের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে, তা জানায়নি জোটটি।
এদিকে জ্বালানি তেলের ডিপোতে হুতি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ হামলার পরেও ফর্মুলা ওয়ানের রেস জেদ্দা শহরে ঠিক সময়েই শুরু হবে। রেসাররা ও দলগুলো টুর্নামেন্ট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেসার ও তাদের দল এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ফর্মুলা ওয়ানের চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিফানো ডোমিনিক্যালি টুর্নামেন্ট চলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদেরকে সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে দেশের নিরাপত্তা সবার আগে।’
এদিকে প্রায় ৭ বছর ধরে হুতিদের সঙ্গে লড়াই চলছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের। ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে হুতিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করলে এই লড়াই শুরু হয়। এর আগেও ২০২০ সালে আরামকোর একটি তেল শোধনাগারে হুতিদের ক্রুজ মিসাইল আঘাত হানে।