বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোট পেছাল

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪৯

নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি। অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন না করেই জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার বহুল প্রত্যাশিত অধিবেশন শুরুর পরপরই তা ২৮ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার আসাদ কায়সার।

অধিবেশনের শুরুতে প্রয়াত জাতীয় পরিষদ সদস্য খায়াল জামান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রফিক তারারের জন্য দোয়া করা হয়।

এরপর স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, ‘জাতীয় পরিষদের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে পার্লামেন্টের রীতি অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। আগামী সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হলো।’

অধিবেশনে ক্ষমতাসীন দল পিটিআইয়ের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশি, শিরিন মাজারি, আসাদ উমর ও আলি মুহাম্মদ খান অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারিসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধীদলীয় নেতাকেও অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা যায়।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো।

এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় পরিষদ সচিবালয় থেকে আজকের অধিবেশনের জন্য ১৫ দফার আলোচ্যসূচি দেয়া হয়। এ সূচিতে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টিও উল্লেখ ছিল।

অধিবেশন শুরুর আগে জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘আজকের অধিবেশনেই যেন অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়, সে চেষ্টা চালাবে বিরোধী জোটগুলো। তবে প্রস্তাব উত্থাপন না হলে তারা তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে।’

নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।

অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। এর আগে তিন বছরের মাথায় গত মার্চে অনাস্থা ভোট হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। সেবার সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অনায়াসেই উতরে গিয়েছিলেন তিনি।

এবারে অনাস্থা ভোটের আগে ইমরান খান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটে যা-ই হোক, পদত্যাগ করবেন না তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর