বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মারিউপোলে বড় সাফল্যের দাবি চেচেনযোদ্ধাদের

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ০৯:৪৪

রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য রমজান কাদিরভের। তিনি পুতিনের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে পরিচিত। একসময় চেচেনদের সঙ্গে রুশ সেনাদের যুদ্ধ চললেও এখন রাশিয়ার হয়েই কাদিরভের নেতৃত্বে লড়ছে তারা।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই চেচেনযোদ্ধারা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়ছে। যুদ্ধের এক মাসে এসে পশ্চিমারা যখন বলছে, রুশ সেনারা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি ঠিক এমন সময় বড় সাফল্যের দাবি করেছে চেচেনযোদ্ধারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলের সিটি হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে চেচেনযোদ্ধারা এবং সেখানে তারা রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে।

টেলিগ্রামের চ্যানেলে কাদিরভ বলেন, ‘ছেলেরা (চেচেনযোদ্ধারা) রেডিওতে জানিয়েছে তারা মারিউপোল কর্তৃপক্ষের ভবনটি মুক্ত করেছে এবং এর ওপরে পতাকা লাগিয়েছে (রাশিয়ার পতাকা)।’

তিনি পরে আরেকটি ভিডিওতে বলেছেন, মস্কোর বাহিনী শহরের পূর্ব অংশের আবাসিক এলাকাগুলোকে শত্রুমুক্ত করেছে।

সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বিধ্বস্ত ভবনের সামনে এক দল চেচেন সেনা কাদিরভের ছবি লাগানো পতাকা তুলে ধরছে।

রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য রমজান কাদিরভের। তিনি পুতিনের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে পরিচিত। একসময় চেচেনদের সঙ্গে রুশ সেনাদের যুদ্ধ চললেও এখন রাশিয়ার হয়েই কাদিরভের নেতৃত্বে লড়ছে তারা। রমজান কাদিরভ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাশিয়ার জন্য প্রাণ দিতেও তার আপত্তি নেই।

তবে চেচেন নেতার দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রুশ সেনারা বেশ কয়েকদিন ধরে মারিউপোল শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কয়েক দফায় শহরটি থেকে বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এখনও প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা শহরটিতে আটকা পড়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। ইউক্রেনের অভিযোগ, শহরের বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর