ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব রাজনীতি যখন থমথমে ঠিক সে সময়ে পদ রক্ষায় লড়ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির পার্লামেন্টে শুক্রবার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হচ্ছে।
গত ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন জানায় তারা।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমা পড়ার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে অধিবেশন ডাকতে হবে; যা ২২ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন জাতীয় পরিষদে শুরু হয় ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। তাই ২৫ মার্চ অধিবেশন ডাকেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
এর আগেও অনাস্থা ভোটের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ইমরান খানকে। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার তিন বছরের মাথায় গত মার্চে অনাস্থা ভোট হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। সেবার সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অনায়াসেই উতরে গিয়েছিলেন ইমরান।
তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নিজ দল তেহরিক-ই-ইনসাফেই কোন্দল দেখা দিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বেশ কয়েকজন সদস্য পিটিআই ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, জোট সরকারের অন্যতম তিন দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। সাফ জানিয়েছেন পদত্যাগ করছেন না।
তিনি বলেন, ‘যাই ঘটুক আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাব। বিরোধীদের তাদের সব কার্ড দেখিয়ে ফেলেছে। আমি তাদের জানাতে চাই, আপনাদের জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছে।’
৩৪২ সদস্যের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে।