বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৃথিবীর প্রত্যেকে হবে বিলিয়নেয়ার!

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ০১:৪০

আপনি যদি মনে করেন এগুলো ফিকশন ছাড়া কিছুই না, তবে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি মরগ্যান স্ট্যানলির হিসাবে, মহাকাশে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে, যা ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নে ঠেকবে। আর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানের পাশাপাশি ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গের মধ্যে এরই মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। মহাকাশে খনির জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতোমধ্যে তারা নিবন্ধন করে রেখেছে।

মহাকাশ গবেষণায় আশ্চর্য এক জগতের সন্ধান অচিরেই পেতে যাচ্ছে পৃথিবী। প্রায় ৩৪ কোটি কিলোমিটার দূরে মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মাঝামাঝিতে ঝুলে থাকা গ্রহাণুটির নাম ১৬-সাইকি।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসার নতুন মিশন প্ল্যাটিনাম, সোনা, লোহা, তামাসহ একাধিক মূল্যবান ধাতুতে ঠাসা এই গ্রহাণুকে নিয়ে। সংস্থাটির মহাকাশ যান চলতি বছরের আগস্টে নতুন এই অভিযানে নামবে। সাড়ে তিন বছরের যাত্রা শেষ হবে ২০২৬ সালে। ২১ মাস কক্ষপথে থেকে সাইকির বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করবে মহাকাশযানটি।

এই গ্রহাণুর সন্ধান মিলেছিল আজ থেকে ১৭০ বছর আগে ১৮৫২ সালে। ইটালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী আনিবেল দি গাসপারিস ও তার দল যখন এটির সন্ধান পায়, তখন আর পাঁচটা মৃতপ্রায় গ্রহাণুর সঙ্গে সেটিকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র সাইকির নামে তারা এটির নামকরণ করেছিলেন।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, গ্রহাণুটিতে ৭০০ কুইন্টিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। আর এই অর্থ যদি বিশ্বের সব মানুষকে সমানভাবে বণ্টন করা হয়, তবে প্রতিটি মানুষ বিলিয়নেয়ার হয়ে যাবে। এক-একজন মালিক হবেন ৯৩ বিলিয়ন ডলারের!

যেখানে এটি ঝুলছে সে অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গ্রহাণু ১৬-সাইকি। ১২০ মাইল ব্যাসের এই গ্রহাণুকে পৃথিবীতে টেনে আনা সহজ নয়।

রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক জারনেকির মতো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যসের কোনো গ্রহাণুকে বাণিজ্যিক খনিতে এনে গবেষণার জন্য আমরা এখনও প্রস্তুত নই। এ জন্য আমাদের আরও ৫০ বছর সময় লাগবে।

শিল্পীর আঁকা সাইকি-১৬ ছবি।

অনেকে আবার এই গ্রহাণুর সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইউরো প্যাসিফিক ক্যাপিটালের পিটার শিফ বলছেন, গ্রহাণুতে হয়তো লোহা, নিকেলের মতো ধাতু আছে। অল্প স্বর্ণও থাকতে পারে। গ্রহাণু সম্পর্কে এই খবর বিটকয়েনের পক্ষে কাজ করবে। কারণ এ ঘটনা সত্যি হলে স্বর্ণের দাম কমবে, যা বিটকয়েনের জন্য লাভজনক।এ ছাড়া এই আবিষ্কারে পৃথিবীর অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে বলে প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

খনি কোম্পানি ইউরোসান মাইনিংয়ের প্রধান নির্বাহী স্কট মুর বলেন, ‘এই গ্রহাণু ছাড়াও পৃথিবীর কাছাকাছি কোনো গ্রহাণুগুলোতে খনি থাকতে পারে। এমনকি আমরা চাঁদে অভিযান চালাতে পারি। সেখানে স্বর্ণের পাশাপাশি প্লাটিনাম এবং নানা বিরল ধাতু আছে।’

আপনি যদি মনে করেন এগুলো ফিকশন ছাড়া কিছুই না, তবে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি মরগ্যান স্ট্যানলির হিসাবে, মহাকাশে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে, যা ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নে ঠেকবে। আর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানের পাশাপাশি ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গের মধ্যে এরই মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। মহাকাশে খনির জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতোমধ্যে তারা নিবন্ধন করে রেখেছে।

এ বিভাগের আরো খবর