বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কী

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১০:১৭

শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয় বরং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বাড়াতে যোগ হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের এক নতুন সংস্করণ; যার নাম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ক্ষেপণাস্ত্রের নাম শুনলেই বোঝা যায়, কোথাও হয়তো যুদ্ধ বেধে গেছে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে ধ্বংসযজ্ঞ। চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে শক্তিশালী ও ভয়ানক এই অস্ত্র।

তবে সেখানে শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয় বরং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বাড়াতে যোগ হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের এক নতুন সংস্করণ; যার নাম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের চেয়ে সাধারণত পাঁচগুণ বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পৃথিবীর যে কোনো স্থানে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হলো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ‘থামানো যায় না’ এমন উপায়ে তৈরি হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

সম্প্রতি ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কিনজাল নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করা হয়েছে, এটি সাধারণত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক নিচু দিয়ে লক্ষ্যের দিকে উড়ে যায়। দুই হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে এই কিনজাল যে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে। এর গতি শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি।

উন্নত অস্ত্রের জন্য বরাবরই গর্বিত রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নানা সময়ের বক্তব্যে বিষয়টি উঠে এসেছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে পুতিন বলেন, বিশ্বে রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থান এক নম্বরে। এর গতি, চলার প্রকিয়া, উচ্চতাসহ নানা বিষয়ের কারণৈ এই অস্ত্রকে আটকানো কঠিন।

২০২০ সালে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের সময় প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া। গতি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অতিক্রম করার ক্ষমতার কারণে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্রকে একটি আদর্শ অস্ত্র আখ্যা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

ইউক্রেনে ব্যবহার করা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মস্কো আল জাজিরার সাংবাদিক ডোরসা জাব্বারি বলেন, এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র। পশ্চিমা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম কি না, তা বলা যাচ্ছে না।

এটিকে একটি অপ্রতিরোধ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলা যায় বলেও মত দেন তিনি।

যুক্তরাষ্টের সাবেক স্ট্যাটেজিক কমান্ড জেনারেল জন হাইতেন বলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘প্রতিক্রিয়াশীল, দূরপাল্লার, দূরবর্তী ও প্রতিরক্ষামূলক’। যেখানে অন্য বাহিনী হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়, সেখানে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায় সহজেই।

এ বিভাগের আরো খবর