ইউক্রেন ইস্যুতে যেকোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ ও জবরদস্তির বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেছে চীন।
রোববার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেন সংকট সমাধানে সব সময় সঠিক ও গ্রহণযোগ্য অবস্থানে থাকবে চীন। অধিকাংশ দেশের নৈতিক অবস্থান ও প্রত্যাশার সঙ্গে রয়েছে বেইজিং।’
রাশিয়ার মিত্র হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে আনা যেকোনো ভিত্তিহীন অভিযোগ ও সন্দেহের বিরোধিতা করে ওয়াং ই বলেন, ‘ইউক্রেনের ওপর কখনই কোনো দেশের জবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগ মেনে নেবে না বেইজিং।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘাত নিরসনে চীনের অবস্থান বস্তুনিষ্ঠ ও বেশির ভাগ দেশের সরকারের সদিচ্ছার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। সময় প্রমাণ করবে, চীনের দাবি ও অবস্থান শান্তিপ্রিয় সরকারপ্রধান ও দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মস্কো ও বেইজিংকে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে ওয়াশিংটন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসের অভিযোগ, শীতকালীন অলিম্পিক ঘিরে বেইজিং সফরে পুতিনকে বোঝাতে পারতেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং।
ইউক্রেন সংকট ঘিরে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের মিত্র চীন। মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক দারুণ। এই অবস্থায় আরেক পরাশক্তি চীন কার পক্ষে যাবে, তা নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে চলছে জল্পনা।
রাশিয়ার সঙ্গে চীনের গভীর কূটনীতিক ছাপ দেখা গেছে শীতকালীন অলিম্পিকে। বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পুতিন আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
অলিম্পিক শেষ হওয়ার পরপরই পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। সেখানে সেনাও পাঠান পুতিন।
যদিও শুরু থেকেই বিবদমানদের সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন। সবশেষ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে আলোচনা করেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে।