ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শনিবার বিশ্ব সংস্থাটির হিউম্যান রাইটস অফিস (ওএইচসিএইচআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত অন্তত ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৯ জন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর।
সংস্থাটির মতে, ভয়াবহভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত কিছু এলাকা থেকে তারা এখনও তথ্য জোগাড় করতে পারেনি।
ওএইচসিএইচআর আরও জানিয়েছে, বেশির ভাগ হতাহতের ঘটনা বিস্ফোরক ধরনের অস্ত্র যেমন ট্যাংকের ভারী গোলা, রকেট লঞ্চার থেকে ছোড়া গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার কারণে ঘটেছে।
রাশিয়ার প্রভাববলয়কে রুখতে গঠিত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে প্রায় এক দশক আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বে তীব্রতা আরও বাড়ে।
ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সামরিক অভিযান শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন করে মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুই দিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
চলমান এই যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১ হাজার ৩০০ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৪০০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে আনুমানিক ছয় হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।