১১ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার কমে ৬২২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।
এই পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) রুপির মূল্যের পতন রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে ডলার বিক্রি করেছে। বিদেশি পোর্টফলিও বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে ক্রমাগত বিক্রির কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এবং মূলধনের বহিঃপ্রবাহের মধ্যে ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে।
আরবিআইয়ের সাপ্তাহিক পরিসংখ্যানগত পরিপূরক অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ, যা ফরেক্স রিজার্ভের সবচেয়ে বড় উপাদান, আলোচ্য সপ্তাহে ১১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৫৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ মার্চ, ২০২০-তে শেষ হওয়া সপ্তাহে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছিল। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৪২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্র হওয়ার পর এবং অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আরবিআই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ডলার বিক্রি শুরু করে যখন রুপি ৭৬ মাত্রা অতিক্রম করে এবং ডলারের বিপরীতে ৭৭-এর দিকে এগিয়ে যায়।
অন্যদিকে রুপির ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬১৭ কোটি রুপি তুলে নিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ হাজার ৭২০ কোটি রুপি এবং জানুয়ারিতে ৪১ হাজার ৩৪৬ কোটি রুপি তোলা বিদেশি মুদ্রার মজুতে টান পড়ার আরও একটি কারণ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায়, আলোচ্য সপ্তাহে মজুত সোনার মূল্য ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৪৩.৮৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।