বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে আসাদের গুরুত্ব

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২২ ১৮:২৮

সিরিয়ায় ২০১১ সালে আসাদবিরোধী বিক্ষোভ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিলে ২২ সদস্যের আরব লিগ থেকে বহিষ্কার করা হয় সিরিয়াকে। প্রতিবেশী দেশগুলো আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

দীর্ঘ ১১ বছর পর কোনো আরব রাষ্ট্র সফর করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন আসাদ। কেবল ইরান ও রাশিয়া সফরে দেখা গিয়েছিল সিরীয় প্রেসিডেন্টকে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলছে, শুক্রবার দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাশার আল আসাদ। দেখা করেছেন আবুধাবির সিংহাসনের উত্তরসূরি শেখ জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও।

বাশার আল আসাদের এই সফরকে সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা এবং শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলছেন এই দুই আরব নেতা।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর ১১ বছর পূর্তির এক দিন আগে এই সফর করেন আসাদ। এই আসাদ সরকারকে উৎখাতে ২০১১ সালে ব্যাপক বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল সিরিয়াজুড়ে। পরাশক্তিদের হস্তক্ষেপে নানা চড়াই-উতরাই পার করে এখনও ক্ষমতায় টিকে আছেন আসাদ।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা বলছে, দুবাইয়ের শাসক মাকতুমের সঙ্গে বৈঠকে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ, বাণিজ্যসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএএম বলছে, সফরে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সেখান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের এ সফরে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, কিছুদিন আগেও যে আরব রাষ্ট্রগুলো আসাদকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তারাই এখন দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উদ্গ্রীব। সিরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য পুনঃস্থাপন করতে চাইছে জর্ডান ও লেবানন। এ জন্য দামেস্কের ওপর ওয়াশিংটনের চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছে তারা।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে আসাদবিরোধী বিক্ষোভ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিলে ২২ সদস্যের আরব লিগ থেকে বহিষ্কার করা হয় সিরিয়াকে। প্রতিবেশী দেশগুলো আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হয়েছে অসংখ্য সিরীয়। আর এসরের জন্য পশ্চিমাদের পাশাপাশি আসাদ সরকারকে দায়ী করে আসছে আরব রাষ্ট্রগুলো। আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ব্যাপক।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের আমিরাত সফরের বিষয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাকে বৈধতা দেয়ার এই প্রচেষ্টায় আমরা হতাশ।’

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর কেবল ইরান ও রাশিয়া সফর করেছেন আসাদ। বিদ্রোহীদের দমনে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে তেহরান। আর রুশ বিমানবাহিনীর দাপটে এখন অনেকটাই শক্ত অবস্থানে আসাদ সরকার।

২০১৮ সালে দামেস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিছুদিন আগে আমেরিকার আপত্তি উপেক্ষা করে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদের সঙ্গে দামেস্কে বৈঠকও করেন।

এ বিভাগের আরো খবর