চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের। তবে চীন প্রাথমিক অবস্থায় কঠোর লকডাউন দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
এবার ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় পর চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। দেশটির উত্তর-পূর্বের জিলিন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে দেশটিতে প্রাণহানি প্রায় ৪ হাজার ৬৩৮ জন। এর আগে সর্বশেষ দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায় ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি।
যদিও স্বাধীনভাবে কাজ করা গবেষকরা করোনায় চীনের প্রাণহানি সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন।
এদিকে শনিবারও চীনে নতুন করে ২ হাজার ১৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যার অধিকাংশই জিলিন প্রদেশের। এই প্রদেশটির সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে। শহরটি কার্যত লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরে রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
চীন এখনও করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনেই ভরসা রাখছে। চীনের যেকোনো স্থানে করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগী দেখা গেলেই সেখানে কঠোর লকডাউন এবং করোনা শনাক্তে গণপরীক্ষা করে থাকে।
হঠাৎ করে এভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ সাংহাইয়ের সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অনেক শহরে দেয়া হয়েছে লকডাউন।
দেশটির কমপক্ষে ১৯টি রাজ্য এখন ভাইরাসটির ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানো ঠেকাতে যুদ্ধ করছে।
জিলিন চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি নতুন নতুন ধরন ও রূপ পাল্টে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছে ৪৫ কোটির বেশি।