ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ২০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুনিয়া। দেশগুলো বলছে, বহিষ্কৃতরা তাদের দেশে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ওই কূটনীতিকদের সমর্থনের বিষয়টিও আমলে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কূটনীতিক বহিষ্কারের এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে রাশিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কারের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’
লিথুনিয়া চারজনকে কূটনীতিককে এবং লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া তিনজন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
এছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের দেশ ছাড়তে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে বুলগেরিয়া।
এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার কূটনীতিকরা দেশটির নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছিলেন। এছাড়া তারা ইউক্রেনে হামলার পক্ষেও প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
লিথুনিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুলগেরিয়া জানিয়েছে, কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১০ কূটনীতিককে ফেরত পাঠাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এর আগেও ২ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাশিয়ার দুই কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল বুলগেরিয়া।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শীতল যুদ্ধের সময় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল বুলগেরিয়া। বর্তমানে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। দেশটি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমালোচনা করে আসছে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এর আগেও ২০১৯ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার আট রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিল বুলগেরিয়া।