ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের তৃতীয় সপ্তাহে এসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক ও চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আলাপ হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
গত বছরের নভেম্বরে সবশেষ কথা হয়েছিল শি ও বাইডেনের।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শি-বাইডেন ফোনালাপের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের’ পক্ষে যেকোনো কর্মকাণ্ডের জন্য চীনকে দায় নিতে হবে বলে জানিয়ে দেবেন বাইডেন। একই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে চীনকে যে মূল্য দিতে হবে, তা দেশটির প্রেসিডেন্টকে জানাবে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ২৪ ফেব্রুয়ারির ঘোষণায় ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রুশ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এ থেকে বিরত রয়েছে চীন। কিয়েভ ও মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা বেইজিং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের পক্ষে বললেও রাশিয়ার সরাসরি কোনো সমালোচনা করেনি। চীন বরাবরই শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ন্যায্য নিরাপত্তা উদ্বেগ রয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র নীরবে ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র বানানো নিয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছে চীন। এ অভিযোগ নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।