ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে। বাড়তি দামের এ ধাক্কা বাংলাদেশের বাজারের মতো লেগেছে প্রতিবেশী ভারতেও।
ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে ভোজ্যতেলের দাম গত মাসে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার তিন সপ্তাহের যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হলে ভারতের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম মাত্রা ছাড়াতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশে এরই মধ্যে সূর্যমুখী তেল, পামওয়েল ও সয়াবিন তেল সরবরাহে ঘাটতি দেখা গেছে।
সূর্যমুখী তেলের অন্যতম রপ্তানিকারক ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি সংকোচন করেছে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারে।
এ বিষয়ে পানসারি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাম্মী আগারওয়াল বলেন, ‘মাত্র এক মাসের ব্যবধানে (ভোজ্যতেলের) দাম ১২৫ রুপি থেকে বেড়ে ১৭০-১৮০ রুপি পর্যন্ত হয়েছে। মে বা জুন মাসে এটি আরও বাড়বে। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে, তবে বৃদ্ধির পরিমাণ অবশ্যই কম হবে না।’
ভারতে রান্নার তেলের চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা এবং ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কিছু দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
কোটাক সিকিউরিটিজের কমোডিটি রিসার্চের প্রধান রবীন্দ্র ভি রাও বলেন, ‘সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দামের ঊর্ধ্বগতি লম্বা সময়ের জন্য টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই। কারণ উচ্চমূল্যের স্তরে ভোজ্যতেলের চাহিদা কমে যাবে, তবে যদি কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করে, আগামী সপ্তাহে ভোজ্যতেলের দাম নতুন উচ্চতায় উঠতে পারে।
‘ভারতের মতো যে দেশগুলো ভোজ্যতেলের জন্য বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভর করে, তারা আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দামের উত্তাপ অনুভব করবে।’