বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনীয়দের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তারা

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১৭:২৬

ইংল্যান্ডের বাসিন্দা টিনা উনুকোভস্কা বলেন, ‘১০ বছর আগে একটি স্যুটকেস এবং ছোট বাচ্চা নিয়ে আসি। এখানকার লোকজন পরম আদরে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছিল, জীবন গড়তে সহায়তা করেছিল। এখন সময় তা শোধ করার।’

দশ বছর আগে একটি স্যুটকেস সঙ্গী করে পোল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন টিনা উনুকোভস্কা। ইউক্রেনের ক্রান্তিকালে সেই টিনা এখন দেশটির পালিয়ে আসা নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত।

টিনা উনুকোভস্কা এমন হাজারও মানুষের মধ্যে একজন যারা কিয়েভ সরকারের ‘হোমস ফর ইউক্রেন’ সাইটে একজন করে শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

৩৮ বছরের টিনা বলেন, ‘পোল্যান্ড থেকে আসার পরে আমি এবং আমার পরিবার যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলাম, সময় এসেছে তা ফিরিয়ে দেয়ার।

‘আমরা যা পেয়েছি তা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন তা ভাগ করে নিতে চাই।’

গ্লুচেস্টার শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমের ছোট্ট গ্রাম কুয়েজেলিতে স্বামী আর দুই বাচ্চার সঙ্গে থাকেন টিনা।

তিনি বলেন, ‘১০ বছর আগে একটি স্যুটকেস এবং ছোট বাচ্চা নিয়ে আসি। এখানকার লোকজন পরম আদরে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছিল, জীবন গড়তে সহায়তা করেছিল। এখন সময় তা শোধ করার।

‘আমাদের বাড়িটা বেশ বড়। যিনি থাকবেন তার প্রাইভেসি নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা করতে পারছি কারণ আমরা এখন অন্যকে সাহায্য করার অবস্থানে আছি।’

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) সেবিকা টিনা জানেন না আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি কত দিন তাদের সঙ্গে থাকবেন। তারপরও তিনি প্রস্তত।

টিনা বলেন, ‘এটা বলা সত্যিই কঠিন। এক বছর হলেও আমি মনে কিছু করব না; এটা আসলে নির্ভর করে ইউক্রেন পরিস্থিতির ওপর।’

দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সুইন্ডন শহরের বাসিন্দা ইয়ান এবং ফে হাওয়ার্ডের এমন অভিজ্ঞতা আছে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল এই দম্পতি। তারা এখন ইউক্রেনীয়দের স্বাগত জানাতে নিবন্ধন করেছেন।

ফে এবং ইয়ান হাওয়ার্ড দম্পতি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শরণার্থীদের আতিথেয়তা করেন। ছবি: সংগৃহীত

হাওয়ার্ড দম্পতি জানান, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দারুণ ব্যাপার। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। যেমন ভালো বেডরুম, খাবার এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলো কিছুটা বেকায়দায় ফেলতে পারে।

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসায় তারা নানা ট্রমায় থাকতে পারে। আমরা হয়তো বুঝতেও পারব না যে তারা সমস্যায় ভুগছে। এ ছাড়া আমরা যখন বাইরে থাকব, তখন তাদের বাড়িতে একা রেখে যাব কি না, সে বিষয়টাও ভাবতে হবে।

বিবিসি রেডিও উইল্টশায়ারকে ফে হাওয়ার্ড বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে তা হলো আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি এমন ব্যক্তির জন্য কাজটা করছেন, যিনি স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।’

‘সমারসেট পরিবারে যোগদান’

ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য আড়াই লাখ ইউরোর তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সমারসেট কাউন্টি।

কাউন্টির নেতা ডেভিড ফোদারগিল বলেন, ‘আশা করছি যুক্তরাজ্য বড়সংখ্যক শরণার্থীর আতিথেয়তা করতে পারবে। তাদের সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে নেবে। এটা নিশ্চিত যে অনেকেই এ কাজে এগিয়ে আসবে। সমারসেট পরিবার অপেক্ষায় আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর