বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনে রুশ অভিযানে কেন ধীরগতি?

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১৫:১৪

ম্যাকগ্রেগর মনে করেন, রুশ সেনাদের মন্থরগতি আসলে তাদের সামরিক পরিকল্পনারই অংশ। ফলে ইউক্রেনীয় ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে মিথ্যা আশ্বাস তৈরি হবে যে ইউক্রেন আসলে যুদ্ধে জিতে যাচ্ছে। তারা বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে এখানে রাশিয়ার পরাজয় ঘটছে, বাস্তবতা যেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। ইউক্রেনও পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের তিন সপ্তাহ চলে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি রাশিয়া, এমনটাই মনে করে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনেরও দাবি, তাদের সেনারা রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে।

যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া নির্দেশ রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত ও সম্পদের ক্ষতি এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে রুশ সেনাদের। দ্য গ্রেজোনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর।

তিনি মনে করেন, পুতিনের এমন সিদ্ধান্তই রুশ সেনাদের গতিকে মন্থর করেছে।

ম্যাকগ্রেগর মনে করেন, রুশ সেনাদের মন্থরগতি আসলে তাদের সামরিক পরিকল্পনারই অংশ। ফলে ইউক্রেনীয় ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে মিথ্যা আশ্বাস তৈরি হবে যে ইউক্রেন আসলে যুদ্ধে জিতে যাচ্ছে। তারা বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে এখানে রাশিয়ার পরাজয় ঘটছে, বাস্তবতা যেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত।

কিছু কিছু সিনেটর রুশ সেনাদের ‘অযোগ্য’ হিসেবে তুলে ধরেন, কারণ তারা স্বল্প দিনের মধ্যে কিয়েভ দখল করতে পারেনি। এ ধরনের বক্তব্য ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে আরও উৎসাহিত করে।

যুক্তরাষ্টের অবসর প্রাপ্ত এই কর্নেলের দাবি, শুরুর দিন থেকেই রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করা এবং এই কাজ অনেকাংশেই সম্পন্ন করে এসেছে তারা।

ইউক্রেনের সক্রিয় সেনা ইউনিটগুলোকে বিভিন্ন শহরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তারা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। কিয়েভ শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিশচেঙ্কো বলছেন, খাদ্য ও রসদ রয়েছে খুব অল্পদিনের।

কিন্তু ওয়াশিংটন আছে এক মিথ্যা আশায়। দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়ার ক্ষতি হবে, যা দেশটি সামাল দিতে পারবে না। ম্যাকগ্রেগর বলেন, ‘এটি খুব স্পষ্ট যে ওয়াশিংটন এই যুদ্ধকে চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়। যাতে রাশিয়ার ক্ষতি হয়। বাস্তবে এমন কিছু হচ্ছে না।’

তিনি জোর দিয়ে বলছেন, পশ্চিমে কোনো সত্য নেই। আমি টেলিভিশন ছেড়ে দেখলাম তারা বারবার বলছে, রুশ সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে। কিন্তু বাস্তবে এমনটি হচ্ছে না। এটি অযৌক্তিক ও ফালতু।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এখনও পশ্চিমাদের কাছে অস্ত্র সহায়তা চাচ্ছেন এবং ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব। এই জায়গায়ই দ্বিমত ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের সরবরাহই কোনো কাজে আসবে না। রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারবে না ইউক্রেন। জেলেনস্কি যুদ্ধ চালিয়ে গেলে অনেক ইউক্রেনীয়র প্রাণহানি হবে, জয় আসবে না।

এ বিভাগের আরো খবর