ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের সম্পর্কের ফাটলের শুরুটা ২০১৬ সালের আমেরিকার জাতীয় নির্বাচনের সময়। ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে সেবার বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছিলেন রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে।
আমেরিকার সব গোয়ান্দা সংস্থার দাবি, নির্বাচনে হিলারিকে হারাতে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া। ভোটের কিছু দিন আগে, হিলারির ব্যক্তিগত ইমেল ফাঁসের পেছনে ছিল ক্রেমলিনের হাত।
চার বছর পর ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হটিয়ে হোয়াইট হাউজে পা রাখেন জো বাইডেন। এর দুই বছরের মাথায় চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রতিবাদে মস্কোয় একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
পাল্টা পদক্ষেপে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তার ছেলে হান্টার বাইডেন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১২ জনকে রাশিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া কেউ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও, মস্কোর এ পদক্ষেপে খুশি হয়েছেন জানিয়ে টুইট করেছেন হিলারি।
তিনি লিখেছেন, ‘এই লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য রাশিয়ান অ্যাকাডেমিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
পশ্চিমাদের ওপর মস্কোর নিষেধাজ্ঞাকে অবশ্য প্রতীকী বলা হচ্ছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব ব্যক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় থাকবে। এমনকি প্রয়োজন হলে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগও করা যাবে।