হামলার জন্য আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নেয়া একদল পরিযায়ী পাখি প্রস্তুত বলে অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। ক্রেমলিন বলছে, এসব পাখি ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তৈরি জৈব অস্ত্র (বায়োওয়েপন) বহন করে রুশ ভূখণ্ডে ফেলবে।
রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোগাযোগের জন্য কবুতরের ভূমিকা ব্যাপক ছিল। আমেরিকা অবশ্য যোগাযোগের চেয়েও বেশি কিছু আশা করেছিল পাখি থেকে। কবুতরকে তারা মিসাইলের ভেতরে বসিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করেছিল। উদ্দেশ ছিল, সেই কবুতরটি লক্ষ্যবস্তুতে নিয়ে যাবে মিসাইলকে। তবে ‘প্রজেক্ট পিজিয়ন’ ব্যর্থ হয়।
পেন্টাগনের অর্থায়নে ইউক্রেনে একটি জৈব গবেষণাগার আছে বলে কদিন আগে অভিযোগ তোলেন কোনাশেনকভ। জানান, সেখানে মারাত্মক সব জীবাণু গোপনে ছড়িয়ে দেয়ার গবেষণা চলছে।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে পাখি, বাদুড় এবং সরীসৃপকে দিয়ে অ্যানথ্রাক্স এবং সোয়াইন ফিভারের মতো মারাত্মক রোগ ছড়ানো যায় আমেরিকা সে চেষ্টা করছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ। ছবি: সংগৃহীত
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে পরমাণু কিংবা জৈব অস্ত্র তৈরি বন্ধ করতে এই অভিযান চলছে বলে জানায় মস্কো। তবে অভিযোগের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি পুতিন প্রশাসন।
অনেকটা এ ধরনের অভিযোগে আজ থেকে ১৯ বছর আগে ২০০৩ সালে ইরাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমেরিকান সেনারা। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে বাগদাদে তাদের মনোনীত সরকার বসায় আমেরিকা। তবে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির অভিযোগ ছিল, তার প্রমাণ আজও দেখাতে পারেনি ওয়াশিংটন।