বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাড়াটে সেনাদের দয়া নয়: রাশিয়া

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১০:২৪

রুশ সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের অবস্থান আমাদের জানা। আমি সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই- তারা ইউক্রেনের যে অঞ্চলেই থাকুক না কেন, ভাড়াটে সেনাদের কোনো দয়া দেখানো হবে না।

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে না জড়ালেও অনেক দেশ থেকেই যোদ্ধারা ইউক্রেনে যাচ্ছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এবার ইউক্রেনে আসা বিদেশি যোদ্ধাদের সাবধান করে দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের ইউক্রেনে যুদ্ধে যোগদানে উৎসাহিত করছে। এসব নাগরিকের মৃত্যুর জন্য পশ্চিমা সরকারগুলোই দায়ী থাকবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, জাভারোভ ঘাঁটিতে চালানো হামলার মতো আঘাত চালিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রাশিয়া এবং ভাড়াটে সেনাদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না।

রুশ সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের অবস্থান আমাদের জানা। আমি সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই- তারা ইউক্রেনের যে অঞ্চলেই থাকুক না কেন, ভাড়াটে সেনাদের কোনো দয়া দেখানো হবে না।

পশ্চিম ইউক্রেনে জাভারোভ ঘাঁটিতে হামলার প্রসঙ্গ টেনে কোনাশেনকভ বলেন, এ ধরনের হামলা চলবে।

রাশিয়ার দাবি, জাভারোভের হামলায় ১৮০ বিদেশি সেনা মারা গেছে। যদিও কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় ৩৫ জন মারা গেছে ও ১৩০ জন আহত হয়েছে। কোনো বিদেশি যোদ্ধা এ হামলায় মারা যায়নি।

ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বিশ্ববাসীকে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে যোগদানের আহ্বান জানান। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে যোদ্ধারা ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদান করেছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ অভিযান। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল, সুমিসহ প্রধান শহরগুলোতে লড়াই চলছে।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর