ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল, সুমিসহ অন্যান্য শহরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো।
পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা, এর ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে, ন্যাটো ভুখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যারা বাইরে থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় পাচ্ছেন। ইউক্রেন সফলতার সঙ্গে লড়াইয়ে ফিরেছে। আমাদের লড়াইয়ে আপনার সহযোগিতা দরকার। আমাদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করুন। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন ও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিন। পুতিনকে ব্যর্থ করতে ইউক্রেনের বাহিনীকে সহযোগিতা করুন এবং এভাবেই আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে পারেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।