বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কংগ্রেসের নেতৃত্ব হারাচ্ছে গান্ধী পরিবার?

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ২০:৩০

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, গান্ধী পরিবারের ব্র্যান্ড ভ্যালু তলানিতে ঠেকেছে উত্তর প্রদেশে। আর এই ভরাডুবির জন্য তারা দায়ী করছেন প্রিয়াংকাকে।

ভারতের উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় ফল বিপর্যয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েছে কংগ্রেসের গান্ধী নেতৃত্ব। এরই জের ধরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াংকা গান্ধী।

রোববার দলের কার্যনির্বাহী সভায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন তারা।

শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে বিধানসভার ৪০৩ আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস।

এবারের নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশে ২০৯টি সভা ও রোড শো করেছেন প্রিয়াংকা। যেখানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০৩টি নির্বাচনি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, গান্ধী পরিবারের ব্র্যান্ড ভ্যালু তলানিতে ঠেকেছে উত্তর প্রদেশে। আর এই ভরাডুবির জন্য তারা দায়ী করছেন প্রিয়াংকাকে।

সোনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের আসন রায়বেরেলি ধরে রাখতে পারলেও উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি।

মাঝে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেও উত্তর প্রদেশে খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি কংগ্রেস শিবির। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসকে ভোট-বৈতরণী পার করানোর দায়িত্বে ছিলেন রাহুল।

প্রায় দুই মাস ধরে অন্তত ২০০ সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটে ৩৫৫ আসনের মাত্র ২৮টিতে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে আসনের বিপরীতে সবার শেষে ছিল কংগ্রেস।

২০১৯ সালে লোকসভায় খারাপ ফলের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। এর পর থেকে দলটির অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকাকে দেয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব।

তবে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াংকার পদত্যাগপত্র আদৌ গৃহীত হবে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের বৈঠকে হারের নৈতিক দায় নিয়ে তিনজন পদত্যাগ করতে চাইলেও কার্যনির্বাহী সভা রাজি নাও হতে পারে। এ ছাড়া এর আগেও একাধিক বার তাদের পদত্যাগ করতে চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ বিভাগের আরো খবর