যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইউক্রেন জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এমন রুশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও আলোচনা হয়ে গেছে। ইউক্রেন বলছে, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মতে, রাশিয়া এমন অভিযোগ এনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।
এবার সিএন্এনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তবে দেশটিকে ‘কঠিন মূল্য’ দিতে হবে।
যদিও রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনার কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
জেন সাকি মনে করেন, রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে ফলস ফ্লাগ অপারেশন চালাতে পারে রাশিয়া। অর্থ্যাৎ নিজেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে দায়ী করতে পারে দেশটি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইউক্রেন জীবাণু অস্ত্র উন্নয়নে কাজ করছে এমন অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
পশ্চিমাদের অভিযোগ, ভবিষ্যৎ কোনো জৈব ও রাসায়নিক হামলার ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে তাদের ভুল তথ্য প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কোনো ধরনের জৈব অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না তার দেশ।
রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান অ্যাভরিল হেইন্স। সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটিকে দেয়া বক্তব্যে হেইন্স বলেন, ‘আমরা মনে করি না ইউক্রেন কোনো জৈব, রাসায়নিক অস্ত্র বা পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘ইউক্রেনে কোনো রাসায়নিক বা জৈব গবেষণাগার পরিচালনা করে না যুক্তরাষ্ট্র। এই ধরনের কোনো অস্ত্রও তারা কোথাও তৈরি করছে না।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, ‘সম্ভাব্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে’ গবেষণাগারে রাখা বিপজ্জনক জীবাণু ধ্বংস করে ফেলার জন্য। ডব্লিউএইচওর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন।
তবে ঠিক কবে নাগাদ এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি এবং ইউক্রেনের জৈব গবেষণাগারে ঠিক কোন ধরণের জীবাণু আছে, তাও বলা হয়নি।