বিনা পারিশ্রমিকে ইউক্রেনে গিয়ে যুদ্ধ করতে আগ্রহী বিদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর সপ্তাহ দুয়েক পর এ প্রসঙ্গে নতুন করে নির্দেশনা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবী, বিশেষ করে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী পাঠনোর জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।
নিরপত্তা পরিষদের বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘যদি এমন দেখা যায় যে স্বেচ্ছায় কেউ আসতে চায়, বিশেষ করে যদি অর্থের জন্য না হয় এবং দনবাসে বসবাসকারীদের যারা সাহায্য করতে চায়, তবে তাদের ওই যুদ্ধের অঞ্চলে পাঠাতে সহায়তা করতে হবে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুয়ের দেয়া তথ্যানুসারে, ১৬ হাজারের বেশি মানুষ, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের স্বেচ্ছাসেবীরা ইউক্রেনে রুশ সেনাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে চায়। পুতিনের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী তার দেশের হয়ে যুদ্ধে যেতে এসব বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের আর বাধা নেই।
এর আগে রোববারই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, সিরিয়ার অভিজ্ঞ ‘শহুরে যোদ্ধা’দের ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। তবে এই খবরে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউক্রেন সীমান্তে টানা কয়েক দিন সেনা মোতায়েন করে রেখে অবশেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বাহিনীকে প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও।
এরই মধ্যে তিন দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হয়েছে; তবে কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। যুদ্ধে প্রতিদিনই আসছে হতাহতের খবর। অসংখ্য মানুষ হচ্ছে বাস্তুচ্যুত।