বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আবারও পর্যটকদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়াও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এবারের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া রুশ পর্যটকরা পড়েছেন বিপদে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বেড়াতে আসা রুশ পর্যটকরা বুথ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ তুলতে পারছেন না। অনেককেই সেই জন্য বিপদে পড়তে হয়েছে দেশটিতে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোতে নিষেধাজ্ঞা, সুইফট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়া এবং ভিসা, মাস্টারকার্ড রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত করায় দেশের বাইরে থাকা রুশ নাগরিকরা তাদের কার্ড ব্যবহার করতে পারছেন না।
বালিতে ছুটি কাটাতে আসা ২৭ বছর বয়সী রুশ পর্যটক কনস্টানটাইন ইভানভ জানিয়েছেন, এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছে না রাশিয়া। আমাদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বালিতে বুথ ব্যবহারের চেষ্টা করছেন রুশ পর্যটক কন্সটানটাইন ইভানভ। ছবি: সংগৃহীত
ইভানভ বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেনো আমাদের অর্থ জব্দ করা হয়েছে এবং এখানে আমাদের অর্থ ব্যবহার করতে পারবো না।’
তবে রুশ নাগরিকদের দ্রূতই তাদের সমস্যার বিকল্প সমাধান বের করতে হবে। খুব শীঘ্রই রাশিয়ার ওপর আরোপিত ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞার সমাধান হচ্ছে না।
সুইফট ব্যাংকিং সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত বিশ্বের ২০০ টি দেশের ১১ হাজার ব্যাংক। সুইফট সিস্টেম থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়া সহ দেশটির ওপর অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌছিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা দেশগুলোর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাঘাত হয়ে ফিরবে মন্তব্য করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, নিজেদের সমস্যা সমাধান করে আরও শক্তিশালী হবে মস্কো।
ইউক্রেনে অভিযানের দুই সপ্তাহ পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতেই এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারত।
‘এগুলো নিয়ে কিছু প্রশ্ন, সমস্যা ও অসুবিধা দেখা দিয়েছে, তবে অতীতে আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি এবং বর্তমানেও তা-ই করব।’
তিনি বলেন, ‘দিনশেষে এগুলো (নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ) আমাদের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা ও সার্বভৌমত্ব বাড়াবে।’
বক্তব্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা যে কাজ করছে না এবং ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রুশ ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মস্কো যে রুখে দাঁড়াতে পারে, সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পুতিন।
ইউরোপে মোট গ্যাসের এক-তৃতীয়াংশের জোগানদাতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার পরও জ্বালানি রপ্তানি চুক্তির বাধ্যবাধকতা রক্ষা করবে রাশিয়া।