ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানের কারণে মস্কোর প্রতিনিধিকে সাময়িক বহিষ্কার করে কাউন্সিল অফ ইউরোপের প্যান-ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা।
ইউরাকটিভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া ধরেই নিয়েছে কাউন্সিল অফ ইউরোপ থেকে তারা বহিষ্কার হতে পারে। ফলে আগেভাগেই তারা ইউরোপীয় কাউন্সিল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তাস নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে রাশিয়া আর কাউন্সিল অফ ইউরোপে অংশগ্রহণ করবে না। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো কাউন্সিল অফ ইউরোপের ‘ক্ষতি’ করছে।
তবে কাউন্সিল অফ ইউরোপ বলছে, মস্কোর প্রতিনিধিকে বহিষ্কার কোনো চিরস্থায়ী পদক্ষেপ নয়। এটি সাময়িক একটি ব্যবস্থা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে কাউন্সিল অফ ইউরোপ পৃথক একটি সংস্থা। ইউরোপীয় অঞ্চলের ৪৭টি দেশ নিয়ে গঠিত সংস্থাটির মূল লক্ষ্য ইউরোপে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এটি ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় ৷ এই পরিষদের সদরদপ্তর ফরাসি-জার্মান সীমান্তের স্টার্সবর্গে অবস্থিত।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থা থেকে বহিষ্কারের ফলে দেশটি পুনরায় মৃত্যুদণ্ড চালু করতে পারবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারমান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় রাশিয়া। দেশটিকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। সে সময় এক ভোটাভুটিতে প্যান-ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা থেকে রাশিয়ার প্রতিনিধিকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। রাশিয়ার পক্ষে থাকে শুধু আর্মেনিয়া।