উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) একাংশের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটি এ পরীক্ষাকে ‘মারাত্মক মাত্রাগত বৃদ্ধি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৪ মার্চ যেসব পরীক্ষা চালানো হয়, সেগুলোর মূল উদ্দেশ্য নজরদারি স্যাটেলাইট উদ্ভাবন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, পূর্ণমাত্রার পরীক্ষার আগে প্রাথমিক পরীক্ষা ছিল সেগুলো।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইসিবিএমের ন্যূনতম সীমা সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার, যেটি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে পারে। পরমাণু অস্ত্র বহনের উপযোগী করে এগুলো তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, উত্তর কোরিয়ার দুটি পরীক্ষায় নতুন আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষাতেই আইসিবিএমের সীমা বা সামর্থ্য প্রদর্শন করা হয়নি, তবে পূর্ণমাত্রার পরীক্ষার আগে মূল্যায়নের জন্য সাম্প্রতিক পরীক্ষাগুলো চালানো হয়। ভবিষ্যতে সম্ভবত মহাকাশে রকেট ছোড়ার কথা বলে আইসিবিএমের পরীক্ষা চালাবে উত্তর কোরিয়া।
কিরবি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানায়, যেগুলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেশ কিছু প্রস্তাবের ঔদ্ধত্যপূর্ণ লঙ্ঘন। এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দুই দেশই পিয়ংইয়ংয়ের নিন্দা জানায়।