পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। রক্ষণশীল সুক-ইওল আমেরিকা ঘেঁষা হলেও, তাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার চীন। আর আমদানিতে অনেকটাই নির্ভরশীল রাশিয়ার ওপর। এই অবস্থায় পশ্চিমাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মস্কোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার।
ডেমোক্রেটিক দলের লি জে-মিউংকে বুধবার এক শতাংশের কম ভোটে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রক্ষণশীল পিপল পার্টির ইউন সুক-ইওল। ইওলের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮.৬ শতাংশ; মিউং পেয়েছেন ৪৭.৮ শতাংশ। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৭ শতাংশ।
পাবলিক ওপিনিয়ন অ্যান্ড এশিয়া পলিসি অ্যাট দ্য শিকাগোর ফেলো কার্ল ফ্র্যান্ডহপ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার হুমকি এড়াতে আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা- থাড কেনার ইঙ্গিত মিলেছে ইওলের নির্বাচনি প্রচারে। তার মানে উনি পশ্চিমা ঘেঁষা নীতিতেই দেশ চালাবেন।
‘নতুন প্রেসিডেন্ট হয়তো চীনের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে অর্থনৈতিক চাপে কিছুটা নরম হতেও পারেন।’
দক্ষিণ কোরিয়া ঐতিহাসিকভাবে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের মতো সামাজিক সমস্যাগুলোকে সমর্থন করে আসছে। সিউল সেই নীতিতে চলতে চাইলে বাণিজ্যে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফ্র্যান্ডহপ।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রতিবাদে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল আরও গভীর করেছে সিউল। রাশিয়া থেকে আমদানিপণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশই অপরিশোধিত বা পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম। এই বাণিজ্য চালু রাখতে সিউলকে এখন শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়াকে বিপদে ফেলতে রাশিয়া চাইতেই পারে।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার এক কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ইওলের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের ডেমোক্রেটিক পার্টি সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। মে মাসে দায়িত্ব বুঝে নেবেন ৬১ বছরের ইউন।