বুথফেরত জরিপ সত্য হলো। ভারতের উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মনিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। পাঞ্জাবে বাজিমাত করেছে আম আদমি পার্টি। ন্যাশনাল কংগ্রেস কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। জয় পেলেও, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে আসন কমায় চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরে।
উত্তর প্রদেশ
রাজ্যের ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৬৮ আসন। গতবারের ৫৪ আসন কম পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি। তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) পেয়েছে ১২৮ আসন। এবার ৭৭ আসন বেশি পেয়েছে এসপি। গতবারের চেয়ে ৫ আসন কম পেয়ে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে ন্যাশনাল কংগ্রেস।
উত্তরাখন্ড
বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে ৪৮ আসন পেয়েছে বিজেপি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস পেয়েছে ১৮ আসন। রাজ্যটিতে জয় পেলেও আগের চেয়ে ৯ আসন কম পেয়েছে বিজেপি।
গোয়া
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় রাজ্যে ৪০ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২০টিতে জয়। গতবারের চেয়ে ৮ আসন কম পেয়েছে কংগ্রেস, এবার গোয়ায় তাদের আসন ১২টি। এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস ২টি এবং এএপি পেয়েছে ৩ আসনে জয়।
মনিপুর
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে বিধানসভার ৬০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৩২ আসন পেয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি পেয়েছে ৮ আসনে জয়। কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে এই রাজ্যে। দলটি পেয়েছে মাত্র ৪ আসনে জয়, যা গতবারের চেয়ে ২৪ আসন কম। এ ছাড়া ৬ আসন পেয়েছে জনতা দল।
পাঞ্জাব
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির পর ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের শাসক দল হতে যাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি (এএপি)।
পাঞ্জাব বিধানসভার ১১৭টি আসনের মধ্যে এএপি পেয়েছে ৯২ আসন, গতবারের ৭২ আসন বেশি পেয়েছে দলটি। রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। গতবারের চেয়ে ৫৯ আসন কম পেয়েছে তারা, জয় পেয়েছে ১৮টিতে। এ ছাড়া পাঞ্জাবের স্থানীয় দল আকালি ৪ এবং বিজেপি ২ আসনে জয় পেয়েছে।
৫০ হাজার ৩৬২ বর্গকিলোমিটারের পাঞ্জাবে জয় নিশ্চিত করতে কয়েক বছর ধরেই জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন কেজরিওয়াল ও তার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাদের সে প্রচেষ্টার ফল দেখা গেল ভোটে।