সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাশিয়া। নতুন রাষ্ট্র গঠনের তিন বছর পর ১৯৯৪ সালে প্রেসিডেন্ট বরিস নিকোলায়েভিচ ইয়েলৎসিন অভিযান চালান জর্জিয়া সীমান্তের বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্র চেচনিয়ায়। ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে হেরে যায় রাশিয়া।
তিন বছর পর ফের চেচনিয়া অভিযান। এবার পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে মস্কো। রাজধানী গ্রোজনিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে চেচনিয়ার দখল নেয় রুশ বাহিনী। জাতিসংঘ সে সময় শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বস্ত শহর বলে অ্যাখ্যা দেয়।
মাঝের সময়টায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে ওঠে রাশিয়া। ক্ষমতায় তখন সাবেক কেজিবি প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন। তার ‘সমর্থনে’ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রুশপন্থি বিদ্রোহীরা। পরের এক মাসে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলও দখল করে রুশপন্থিরা।
পরের বছর পুতিনের নজর যায় মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে তখন আমেরিকার একক আধিপত্য। সিরিয়ায় চলছে গৃহযুদ্ধ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন জানায় মস্কো। পশ্চিমাদের সব আপত্তি পাশ কাটিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে সিরিয়া যুদ্ধের ১১ বছরে গৃহহীন হয়েছেন কয়েক কোটি বাসিন্দা। প্রাণ হারিয়েছেন লাখও মানুষ।
পূর্ব ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের পর ২০১৮ সালে আফ্রিকায় ঘাঁটি গাড়ে রাশিয়া। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে তখন গৃহযুদ্ধ চরমে। অবস্থা বেগতিক দেখে দেশটির সরকার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের শরণাপন্ন হয়। সুযোগ হাতছাড়া করেনি ক্রেমলিন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সরকারি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আফ্রিকায় ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। সেখানে তারা ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করে বলে বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ।