দুই রাজ্যে বন্যার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।বুধবার এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই রাজ্যে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই বন্যায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের নর্দান রিভার্স এলাকা বুধবার পরিদর্শন করেন মরিসন। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্ট্রেলিয়া বসবাসের জন্য একটি কঠিন দেশ হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় দ্রুতগতিতে কাজ না করায় দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোকে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বুধবার লিসমোর শহরে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি জানান।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৯-২০ সালের দাবানলের পর দুর্গত এলাকায় সাহায্য ও সহযোগিতা পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম কমাতে’ এই জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে জানান মরিসন।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে বন্যাদুর্গত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ত্রাণ সাহায্য নেয়ার সুযোগ পাবে ও শহরগুলো পরিষ্কারে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে লিসমোরে কিছু স্থানীয় ও জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী কর্মীর ক্ষোভের মুখে পড়েন মরিসন। তারা এ বন্যাকে ‘জীবাশ্ম জ্বালানি বন্যা’ অভিহিত করে স্লোগান দেন।
জরুরি অবস্থা কার্যকর হতে হলে রাজ্যগুলোর গভর্নর ও অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর জেনারেলের স্বাক্ষর লাগবে, এসব স্বাক্ষর শুক্রবার নাগাদ হয়ে যাবে বলে আশা মরিসনের।