বিদেশিরা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভহেন ইয়েনিন।
ইউক্রেনের জাতীয় সংবাদ সংস্থা ইউক্রিনফরমের বরাত দিয়ে বুধবার সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইয়েভহেন ইয়েনিন মঙ্গলবার বলেন, ‘যেসব বিদেশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রুশ হামলার বিরুদ্ধে অংশ নেবেন তাদের ইউক্রেনের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে যোগ দিতে ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য আন্তর্জাতিক লিজিয়ন অব টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স বিভাগ খোলা হচ্ছে। তারা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় লড়াই করবেন।’
যুদ্ধে যোগ দিতে ইচ্ছুক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যারা চুক্তিতে সই করেছেন তারা সামরিক পাসপোর্ট পাবেন। তারপর তা রেসিডেন্স পারমিটে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে তাদের কেউ যদি নাগরিকত্ব চান তা হলে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে তা দেখা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধাদের প্রথম দল রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনের পথে আছেন।
এদিকে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দূতাবাস বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহের কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকের সামরিক প্রশিক্ষণ নেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই রুশ সেনারা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন।
দেশটিকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ২০ লাখ মানুষ।