বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেনের ফোন ‘ধরছেন না’ সৌদি ও আমিরাতের নেতারা

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ১৬:২১

ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোগাড় ও তেল নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সৌদি ও আমিরাতের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে সুযোগ এখনও পাননি বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ একটা চাপেই পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়া যেমন পাত্তা দিচ্ছে না তাকে; তেমন পাত্তা পাচ্ছেন না সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছেও। ফোনে এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টার পরও ইউক্রেন সংকট ও তেল নিয়ে ওই দুই দেশের নেতার সঙ্গে নাকি তিনি কথা বলতে পারেননি।

বুধবার এমন খবর দিয়েছে তারই দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর অন্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সর্বশেষ তারা ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, দেশে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোগাড় ও তেল নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সৌদি ও আমিরাতের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে সুযোগ এখনও পাননি বাইডেন।

মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বাইডেন কথা বলতে চেয়েছেন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট। তবে তা এখনও সম্ভব হয়নি।

সৌদি আরবের তেল ও তেলজাত পণ্য নিয়ে বাইডেন কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

ইউক্রেন সীমান্তে টানা কয়েক দিন সেনা মোতায়েন করে রেখে সর্বশেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বাহিনীকে প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও।

এরই মধ্যে তিন দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হয়েছে; তবে কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থির হতে শুরু করে। এর প্রধান কারণ হলো সৌদি আরবের পরই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতেও দেশটির অবস্থান শীর্ষে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার অশোধিত তেল ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ব্যারেলপ্রতি দাম উঠেছে ১৩০ ডলারে। আর বিভিন্ন পাম্পে পেট্রলের দাম সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি গ্যালন গড়ে ৪ দশমিক ১৭ ডলারে বিক্রি হয়।

তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিকল্প সরবরাহ খুঁজে বের করার ওপরও চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে তেলের উৎপাদন বাড়াতে চাপ দিতে চায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর