গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা করছে রুশ সেনারা। হামলা থেকে ফেরাতে পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ দিলেও সেনা ফেরাচ্ছে না দেশটি। রাশিয়ার লক্ষ্য পুরো ইউক্রেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এমনটাই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার রাশিয়াকে কাবু করতে এক জোট হয়ে নেমেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ও পেপসিকো। এরই মধ্যে মস্কোকে কোণঠাসা করতে ও ইউক্রেনে হামলা চালানোর শাস্তি দিতে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালে মস্কো ফুটবল বিশ্বকাপের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের হৃদয় সেই মানুষদের সঙ্গে রয়েছে, যারা ইউক্রেনের দুঃখজনক ঘটনাগুলোর অসহ্য প্রভাব সহ্য করছে। আমরা পরিস্থিতির পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চালিয়ে যাব।’
আন্তর্জাতিক বাজারে কোকা-কোলার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী পেপসিকোও একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, রাশিয়ায় কোমল পানীয় বিক্রি স্থগিত করবে। এ ছাড়া দেশটিতে তাদের বিনিয়োগ ও বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন দুধ ও ‘শিশুখাদ্যের মতো পণ্য’ তারা মানবিক কারণেই দেশটিতে বিক্রি অব্যাহত রাখবে।
পেপসিকো বলছে, শীতল যুদ্ধের শেষে প্রতিষ্ঠানটি শীতল যুদ্ধের তীব্রতার সময়ে রাশিয়ার বাজারে প্রবেশ করে এবং তাদের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করতে সহায়তা করেছিল।
যাই হোক, প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে, ‘ইউক্রেনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ায় পেপসির কোমল পানীয় ও বেভারেজ পণ্য বিক্রি স্থগিত করার ঘোষণা করছি।’
পেপসিকো বলছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ হাজার রুশ নাগরিক কাজ করে এবং ৪০ হাজার কৃষি শ্রমিকের জীবিকার উৎস তারা।
কোকা-কোলা ও পেপসিকোর আগে রাশিয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ম্যাকডনাল্ডস। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ায় ম্যাকডনাল্ডসের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। দেশজুড়ে ম্যাকডনাল্ডসের ৮৫০টি রেস্টুরেন্ট আছে। এসবে কাজ করেন ৬২ হাজার কর্মী।
এদিকে কেএফসি, পিৎজা হাটের মূল প্রতিষ্ঠান ইয়াম ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ায় ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালাবে না। দেশটিতে প্রায় ১ হাজার কেএফসি ও ৫০টি পিৎজা হাটের শাখা রয়েছে।