ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমাই, খারকিভ ও বন্দরনগরী মারিওপল থেকে বেসামরিক সরিয়ে নিতে মানবিক করিডর খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বাসিন্দারা এসব শহর ছাড়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
এসব শহরে রুশ বাহিনী কয়েকদিন ধরে হামলা চালায়। ফলে বাসিন্দারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কিয়েভের পশ্চিমে অবস্থিত ইরপিন শহর ছাড়া শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
কিয়েভ অঞ্চলের প্রধান ওলেক্সি কুলেবা জানান, রোমানভিকা গ্রামের মধ্য দিয়ে শহরের মানুষকে কিয়েভ শহরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ এলাকা ছেড়ে রওনা হয়েছেন। বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম চলছে।’
উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমাই থেকেও বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। সুমাই থেকে রওনা হওয়া বেসামরিকদের বহর ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পোলতাভা শহরে যাবে।
এর আগে এসব শহর থেকে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য মানবিক করিডরের ব্যবস্থা করার বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন সম্মত হয়। এ লক্ষ্যে দুপক্ষের সম্মতিতে মঙ্গলবার অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে। এ অস্ত্রবিরতি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ২০ লাখ মানুষ।