নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কেবি প্রদেশে স্বেচ্ছাসেবী পাহারাদার সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকধারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন।
ইয়ান সা কাই নামের পাহারাদার সংগঠনটি জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারির পর নাইজেরিয়ায় এটিই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা।
মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ওই অঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়রা নিজেদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলেছেন।
এই সংগঠনগুলো ডাকাত হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন ও ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ইয়ান সা কাইয়ের প্রধান উসমান সানি জানান, রোববার রাতে তারা সাকাবা এলাকার ডাকাতদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন। তবে ডাকাতরা কোনোভাবে আগেই এই খবর জেনে যায়।
তিনি বলেন, ‘ডাকাতরা অ্যামবুশের পরিকল্পনা করে। তারা জঙ্গলে মোটরসাইকেল লুকিয়ে রাখে। আমরা পৌঁছানোর পর বিভিন্ন দিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। এসময় সংগঠনের ৬২ সদস্য মারা যান।’
কেবি পুলিশের মুখপাত্র নাফিউ আবুবকরও এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে কতজন মারা গেছেন সেটি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।
এর আগে জানুয়ারিতে মোটরসাইকেলে আসা বন্দুকধারীরা কেবির একটি গ্রামে হামলা চালায়। এতে প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
বন্দুকধারীরা প্রায়ই নাইজেরিয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়। তারা মুক্তিপণের জন্য স্কুল শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের জিম্মি করে।